প্রতি ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার: জরুরি স্বাস্থ্যের এক নতুন দিগন্ত

মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক মঞ্চে ইরান ও ইসরায়েলের বৈরিতা আজ এক নতুন এবং বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। দীর্ঘদিনের ছায়া যুদ্ধ থেকে সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে ধাবমান এই পরিস্থিতি শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য নয়, বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও এক অশনিসংকেত। এই সংঘাতের সম্ভাব্য বিস্তার এবং পরিণতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আন্তর্জাতিক শক্তির সমর্থন। কোন দেশ কার পক্ষে অবস্থান নেবে, তা নির্ভর করবে তাদের নিজ নিজ কৌশলগত স্বার্থ, ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের উপর। পাশাপাশি, দুই দেশের সামরিক সক্ষমতার তুলনামূলক চিত্রও এই সংঘাতের গতিপথ নির্ধারণে সহায়ক।
ইরান ও ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই প্রধান সামরিক শক্তি তাদের সামরিক কৌশল ও সক্ষমতার দিক থেকে একে অপরের থেকে বেশ ভিন্ন। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (Global Firepower) এর মতো নির্ভরযোগ্য সামরিক সূচকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, তাদের সামরিক শক্তি নিম্নরূপ:
ইরান (Islamic Republic of Iran Armed Forces):
ইরানের সামরিক শক্তি মূলত বিশাল জনবল এবং আঞ্চলিক প্রক্সি নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল।
* সৈন্য সংখ্যা: প্রায় ১১ লক্ষ ৮০ হাজার নিয়মিত এবং ৩ লক্ষ ৫০ হাজার রিজার্ভ সেনা নিয়ে ইরান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামরিক বাহিনীগুলোর একটি। এটি ইসরায়েলের চেয়ে অনেক বেশি।
* স্থল শক্তি: তাদের কাছে প্রায় ১,৯৯৬টি ট্যাংক এবং ৬৫,৭৬৫টি সাঁজোয়া যান রয়েছে। আর্টিলারি বিভাগে ৭৭০টি সেলফ-প্রপেল্ড আর্টিলারি এবং ৭৮০টি রকেট আর্টিলারি (MLRS) রয়েছে।
* ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন: ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন পাল্লার ব্যালেস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে, যা ইসরায়েল এবং অঞ্চলের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। শাহাব, সেজিল, ফাত্তাহ-১ এর মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের শক্তির পরিচায়ক। ড্রোন প্রযুক্তিতেও ইরান বেশ উন্নত এবং বিপুল সংখ্যক ড্রোন তাদের সামরিক বহরে যুক্ত হয়েছে।
* বিমান শক্তি: ইরানের বিমান বাহিনীর সক্ষমতা স্থল বাহিনীর তুলনায় কিছুটা দুর্বল। তাদের কাছে ১৮৬টি যুদ্ধবিমান, ১৩টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ৮৬টি পরিবহন বিমান রয়েছে। বেশিরভাগ যুদ্ধবিমানই পুরোনো মডেলের।
* নৌ শক্তি: পারস্য উপসাগরে ইরানের একটি উল্লেখযোগ্য নৌ শক্তি রয়েছে, যা মূলত ছোট যুদ্ধজাহাজ, দ্রুত আক্রমণকারী নৌকা (fast attack craft), সাবমেরিন এবং মাইনলেয়ার নিয়ে গঠিত।
ইসরায়েল (Israel Defense Forces - IDF):
ইসরায়েলের সামরিক শক্তি প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব, উচ্চ প্রশিক্ষিত জনবল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের, সহায়তার উপর নির্ভরশীল।
* সৈন্য সংখ্যা: প্রায় ৬ লক্ষ ৭০ হাজার নিয়মিত সেনা এবং ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার রিজার্ভ সেনা নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক জনবল ইরানের চেয়ে কম হলেও, তাদের প্রশিক্ষণের মান এবং আধুনিকায়নে তারা এগিয়ে।
* স্থল শক্তি: ইসরায়েলের কাছে ১,৩০০টির বেশি ট্যাংক (যেমন মার্কাভা সিরিজ) এবং ৪৩,৪০৩টি সাঁজোয়া যান রয়েছে, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। তাদের আর্টিলারি সক্ষমতাও উন্নত, যার মধ্যে ১৫০টি রকেট আর্টিলারি এবং ৬৫০টি সেলফ-প্রপেল্ড আর্টিলারি রয়েছে।
* বিমান শক্তি: ইসরায়েলের বিমান বাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আধুনিক। তাদের কাছে ২৪১টি যুদ্ধবিমান (যার মধ্যে অত্যাধুনিক F-35 যুদ্ধবিমানও রয়েছে), ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য যুদ্ধবিমান রয়েছে। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত।
* বিমান প্রতিরক্ষা: ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা হলো তাদের মাল্টি-লেয়ারড বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার মধ্যে বিশ্বখ্যাত 'আয়রন ডোম' (Iron Dome), 'ডেভিডস স্লিং' (David's Sling) এবং 'অ্যারো' (Arrow) সিস্টেম রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ঠেকাতে সক্ষম।
* নৌ শক্তি: ইসরায়েলের একটি আধুনিক নৌবাহিনী রয়েছে, যা ভূমধ্যসাগর এবং লোহিত সাগরে কাজ করে। তাদের সাবমেরিনগুলো পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন বলে ধারণা করা হয়, যদিও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করে না।
* পারমাণবিক সক্ষমতা: ইসরায়েল 'অস্পষ্টতার নীতি' (policy of ambiguity) অনুসরণ করলেও, এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা তাদের 'চূড়ান্ত প্রতিরক্ষা' হিসেবে কাজ করে।
তুলনামূলক চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ইরানের সংখ্যার দিক থেকে সামরিক জনবল ও কিছু সামরিক সরঞ্জাম বেশি হলেও, ইসরায়েলের প্রযুক্তির মান, বিশেষ করে বিমান শক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা এবং সম্ভবত পারমাণবিক সক্ষমতা তাদের একটি গুণগত সুবিধা দেয়।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য সমর্থকরা: দৃঢ় মিত্রতার বন্ধন
ইসরায়েল মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের, অবিচল সমর্থনের উপর নির্ভরশীল। তাদের এই মিত্রতা সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক – সকল ক্ষেত্রেই বিস্তৃত।
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA): ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য মিত্র হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বহু দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি (যেমন: নৌবাহিনী ও বিমান ঘাঁটি) ইসরায়েলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক ঢাল হিসেবে কাজ করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আসা যেকোনো প্রস্তাবের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা ইসরায়েলের জন্য একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক সমর্থন।
২. যুক্তরাজ্য (UK) ও ফ্রান্স: ইউরোপের এই দুই ক্ষমতাধর দেশও ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল। ঐতিহাসিকভাবেই তাদের ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সীমিত সামরিক উপস্থিতি এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে তারা ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিতে পারে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে তাদের অবস্থান কিছুটা জটিল হলেও, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তারা ইসরায়েলের উদ্বেগের সাথে সহমত পোষণ করে।
৩. কিছু আরব দেশ: যদিও প্রকাশ্যে সামরিক সমর্থন নাও দিতে পারে, তবে কিছু সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশ (যেমন: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও জর্ডান) ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে। আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া এই দেশগুলোর মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি করেছে। এই দেশগুলো ইসরায়েলকে গোয়েন্দা তথ্য বা তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের মতো পরোক্ষ সহায়তা দিতে পারে। অতীতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় কিছু আরব দেশ ইসরায়েলকে প্রতিরোধে সহায়তা করেছে বলেও জানা যায়।
৪. জার্মানি ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র: জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো সাধারণত ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। তারা কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্মে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে এবং প্রয়োজনে মানবিক বা অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে পারে।
ইরানের সম্ভাব্য সমর্থকরা: আঞ্চলিক ও কৌশলগত জোট
ইরানও তার আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মিত্রদের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে যারা পশ্চিমা শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী।
১. সিরিয়া: বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়া ইরানের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি এবং প্রভাব রয়েছে, এবং ইরান সিরিয়ার সরকারকে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে। যেকোনো সংঘাতে সিরিয়া ইরানের পক্ষে অবস্থান নেবে।
২. ইরাকের কিছু মিলিশিয়া গোষ্ঠী: ইরাকে ইরান-সমর্থিত বেশ কিছু শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে (যেমন: হাশদ আল-শাবি)। এরা ইরাকের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অংশ হলেও, ইরানের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রবল। তারা ইরাকের ভেতর থেকে ইসরায়েল এবং মার্কিন স্বার্থের উপর হামলা চালাতে পারে।
৩. লেবাননের হিজবুল্লাহ: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রক্সি হলো লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে হিজবুল্লাহ সরাসরি লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের উপর আক্রমণ চালাতে পারে, যা এই সংঘাতকে আরও জটিল এবং ধ্বংসাত্মক করে তুলবে।
৪. ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী: ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজ এবং পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে তারা ইরানের পক্ষে সক্রিয় থাকবে।
৫. ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ: গাজার এই দুটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরানের কাছ থেকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পায়। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৬. রাশিয়া: ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার হয়েছে। ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে এবং রাশিয়াও ইরানকে সামরিক প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে। কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ইরানের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে।
৭. চীন: চীন ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার এবং বৃহৎ তেল ক্রেতা। যদিও চীন সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলবে, তবে তারা কূটনৈতিকভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে ইরানের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করতে পারে।
৮. উত্তর কোরিয়া: উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মধ্যে অস্ত্র প্রযুক্তি আদান-প্রদান এবং সামরিক সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। এই দুই দেশ একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
সংঘাতের জটিলতা ও বৈশ্বিক প্রভাব
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ কোনো পক্ষকে এককভাবে "জয়ী" করবে না। বরং, এটি উভয় পক্ষের জন্য এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে আনবে। এই সংঘাত আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধকে তীব্র করবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে, এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়াবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরন্তর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, উত্তেজনা কমানো এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের দিকে উভয় পক্ষকে ধাবিত করা অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র সংযম এবং আলোচনার মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য লিখুন