প্রতি ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার: জরুরি স্বাস্থ্যের এক নতুন দিগন্ত

১. সংঘাতের তীব্রতা ও পাল্টাপাল্টি হামলা:
* ইরানের হামলা:
* সোমবার ভোরে ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চলে ইরানের ১০ম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
* তেল আবিব এবং হাইফাতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
* কিরিয়াত গাত, হাইফা, এবং নেগেভ মরুভূমির (দিমোনা পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি) কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে আঘাত।
* ইরানের দাবি: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একে অপরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
* যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের অবস্থান: ইসরায়েলি আক্রমণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো আলোচনা নয়।
* ইসরায়েলের হামলা:
* দাবি: ইরানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (১২০টি) ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস।
* ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান দিয়ে ইরানের সামরিক ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে অভিযান।
* দাবি: ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তেহরান পর্যন্ত আকাশসীমায় পূর্ণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা।
২. ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক পরিস্থিতি:
* ইসরায়েলে ক্ষয়ক্ষতি:
* ইরানি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জন।
* অন্তত ৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত (রেসকিউ পরিষেবা)।
* বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস।
* জনগণের মধ্যে আতঙ্ক, বাঙ্কারে আশ্রয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৪,৫০০+ ফোন কল।
* ইরানে ক্ষয়ক্ষতি:
* ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২২৪ জন, আহত ১,২৭০ জনের বেশি (৯০% বেসামরিক)।
* তেহরানের গ্র্যান্ড বাজার বন্ধ; তেল স্টেশনে দীর্ঘ লাইন, অনেকে রাজধানী ছাড়ছেন।
* কর্তৃপক্ষ মেট্রো স্টেশন ও মসজিদকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করছে।
৩. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
* রাশিয়া ও তুরস্ক: পুতিন ও এরদোগান ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান।
* পোল্যান্ড: ইসরায়েলে আটকা পড়া প্রায় ২০০ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা।
৪. যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা:
* প্রকাশ্যে নিরপেক্ষ, পেছনে সক্রিয় সমর্থন:
* প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি: যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়িত নয় এবং তিনি "চিরস্থায়ী যুদ্ধে" জড়াতে চান না।
* তবে, ইসরায়েলকে সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সক্রিয় সমর্থন।
* ইসরায়েলের কাছে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম (যেমন "বাংকার ব্লাস্টার" বোমা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত।
* যদি ইসরায়েল ফরদোর মতো সুরক্ষিত পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালাতে চায়, তবে মার্কিন সহায়তা অপরিহার্য।
* কর্মকর্তা প্রত্যাহার:
* ইসরায়েলি হামলার দুদিন আগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক অ-জরুরি মার্কিন কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা সংঘাত বাড়ার ইঙ্গিত।
* দূতাবাসের ক্ষতি:
* তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের সামান্য ক্ষতি হয়েছে; জেরুজালেম ও তেল আবিবে দূতাবাস-কনস্যুলেট সাময়িকভাবে বন্ধ।
* মধ্যস্থতার আকাঙ্ক্ষা:
* ট্রাম্পের আশা: ইরান ও ইসরায়েল "একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে" এবং তিনি মধ্যস্থতা করবেন।
* সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি:
* বিশ্লেষকদের আশঙ্কা: সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে যুক্তরাষ্ট্র দায় নেবে না।
* কেউ কেউ মনে করেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাতে টেনে আনতে চাইছে।
* পারমাণবিক আলোচনা:
* ইরানের দাবি: পারমাণবিক আলোচনা চালিয়ে যেতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে। ইরান মনে করে ইসরায়েলি হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের "হাত রয়েছে"।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য লিখুন